সন্তানের মাদকাসক্তে দায়ী পিতা-মাতা না পরিবেশ।
এক সিএনজি চালকের বড় ছেলে বাবু "শরীয়তপুর সরকারি" কলেজে পড়ত।তাকে ঘিরেই ওই নিম্ন আয়ের পরিবারটির যত স্বপ্ন।ওরা আমার প্রতিবেশী।ওর বাবাকে দাদু
বলে ডাকতাম।কিন্তু কলেজে ভর্তি হবার পর থেকেই বাবু মাদক নিতে শুরু করে।তার বাবা-মা সে খবর রাখতেন না।
এক সময় ছেলেটির বাড়ির জিনিসপত্র হারাতে শুরু করে।তবুও ওর বাবা মা ছেলেকে সন্দেহ করেননি।কিন্তু
টাকা চুরি করতে গিয়ে বাবা-মার হাতে ধরা পড়ে।এরপরই
উনারা বুঝতে পারে তাদের ছেলে মাদকাসক্ত।ছেলেকে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনার কোন ব্যবস্থা নেননি তারা।প্রথম প্রথম তারা ভাবেন ছেলে নিশ্চয় ভুল বুঝতে পারবে।
ধীরে ধীরে তার লেখাপড়া গোল্লায় গেল।লেখাপড়া একরকম ছেড়েই দিল।পাড়ার খারাপ ছেলেদের সাথে বাবুর যত আড্ডা।
মাদক সেবন দিন দিন বাড়তেই থাকে তার।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ালো যে প্রতিবেশীদের জিনিসপত্রও চুরি করতে লাগল।
তার বিরুদ্ধে প্রায়ই নালিশ করত আশপাশের লোকজন।
নালিশে নালিশে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে মামার সাথে গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে ঢাকায়
পাঠিয়ে দেন দাদু।তার আশা ছেলে কাজে ঢুকলে ভালো হয়ে যাবে।কিন্তু ঢাকাতে এসে কাজ
ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।মাদকসেবী বন্ধু
জুটতে সময় লাগেনি।একদিন রাজশাহীর বাড়িতে খবর আসে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসে আসল কাহিনি।নেশার কারণে অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার করে শোধ দিতে পারছিলেন না।ধার শোধ না করায় কয়েক দফা মারও খান বাবু।
নানান হুমকির মুখে উপায়
না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বাবু।
Comments
Post a Comment