একজন কলেজ ছাত্রের নির্মম বাস্তব কাহিনী
২০-২১ বছর থেকেই শুরু হয় এই ঝামেলাগুলো। আমার মত যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তাদের জন্য তো ভার্সিটি জীবনটা বিভীষিকা। নিজেকে যেন মনে হয় প্রভুহীন কুকুরের মত।শতকরা ৯৫ টা ছেলেরই এই সময় মা-বাবার কাছে ১০ টা টাকা তো দূরে থাক ২টা টাকা চাইতেও নিজের ভেতর নিজেকেই যুদ্ধ করতে হয়।এই বয়সে ২ টা টাকা চাওয়া যে কতটা লজ্জার তা আমি তোমাকে বোঝাতে পারব না মা।শুষ্ক মলিন চেহারা নিয়ে তাকিয়ে থাকি বন্ধুদের দামি ফোনগুলোর দিকে।১ টা কি ২ টা টি-শার্ট থাকে যখন আমার।
তখন ইচ্ছে করেই ক্লাসে যাইনা, পাছে বন্ধুরা আবার কি ভাবে একি টি-শার্ট পড়া দেখে।একটা পেন্ট পড়তে পড়তে যখন হাটুর নিচে ছিঁড়ে যায়,কেউ জিজ্ঞেস করলে বলি "ইচ্ছে করেই ছিড়ে ফেলেছি,এটাই স্টাইল" বন্ধুরা যখন কক্সবাজার ঘুরতে যায়,তখন পকেটে হাত দিয়ে দেখি ২ টাকার একটা ছেড়া নোট ছাড়া আর কিছুই নেই।ইচ্ছেটাকে পকেটের কোনেই রেখে দেই।কাউকে সুখী করার যোগ্যতা তো আমার নেই।আমি শুধু মুখ বুঝে কাঁদতে পারি।তাইতো রাতের বেলা চোখের ফোটা ফোটা জলে বালিশটা ভিজে।কেউ এখন আর মায়ের মত
চুলগুলো আচড়ে দেয় না,হাতে ১০টা টাকা গুজে দিয়ে বলে না,বাবা কিছু খেয়ে নিস,মুখের খোচা খোচা দাড়িগুলো যখন টাকার অভাবে কাটতে পারি না,তখন বন্ধুদের বলি এটাই
ফ্যাশন,মা তোমার কাছে আজ আর কেউ ৫ টাকা চাইবে না।
বন্ধুরা সব ভাল থাকিস,
সত্যি কারো উপর আজ আমার কোনো ক্ষোভ নেই তাই মরে গেলাম, চোখে ২ টাকার স্বপ্ন নিয়ে.........
Comments
Post a Comment