সিগারেট খাচ্ছেন ??? তাহলে জেনে নিন কী খাচ্ছেন !

আপনি সিগারেটে আসক্ত ? সিগারেট ছাড়া থাকতে পারেন না ?? আপনি কী জানেন যে আপনি কী খাচ্ছেন ? হয়তো বা বলবেন আমার সিগারেট খাওয়া নিয়ে তোমার অসুবিধা কী ? তবে আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে সিগারেটখোর মানুষদের হার্ট চমকে যাবে এ পোষ্টটি পড়লে এবার দেখি সিগারেটে কী কী আছেঃ ১.ক্যাডমিয়াম ২.স্টেরিক এসিড ৩.হেক্সামিন ৪.টলুইন ৫.নিকোটিন ৬.অ্যামোনিয়া ৭.রঙ ৮.মিথানল ৯.কার্বন মনোক্সাইড ১০.আর্সেনিক ১১.মিথেন ১২.এসিটিক এসিড ১৩.বুটেন এই তেরোটি উপাদান বিশিষ্ট দ্রব্য হলো সিগারেট.এবার চলুন দেখে আসি এই তেরোটি দ্রব্য কী কাজে ব্যাবহৃত হয় ১.ক্যাডমিয়ামঃ ক্যাডমিয়াম হলো ব্যাটারীতে ব্যাবহৃত উপাদান.এটি একটি ধাতু এবং মানব শরীরের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ২.স্টেরিক এসিডঃ মোমবাতি দেখেছেন তো ?? মোমবাতির রাসায়নিক উপাদান যখন বাতাসের অক্সিজেন এর সাথে বিক্রিয়া করে দাহন কার্য সম্পন্ন করে, অর্থাৎ সলতে তে আগুন দেওয়ার পর মোমবাতি যখন জ্বলে তখন উচ্ছিষ্ট হিসেবে এই এসিড তৈরি হয়.এই এসিড এ কার্বনের মাত্রা প্রচুর ৩.হেক্সামিনঃ এটি একটি দাহ্য পদার্থ যা আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে ৪.টলুইনঃ টলুইন একটি হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ জ্বালানি গ্যাসতবে টলুইনের ব্যাবহার ব্যাপক এটি রঙ এ, ছাপার কালিতে, আঠা তৈরিতে, সিমেন্ট রঙ করতে, পারমানবিক চুল্লিতে ব্যাবহার হয়এটি হয়তোবা আপনার ফুসফুসের ভিতরে একটি রঙিন আস্তরন বসিইয়ে দিবে ৫.নিকোটিনঃ সিগারেটের ক্ষতিকারক দ্রব্যগুলোর মধ্য সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে এই নিকোটিনকখনো পোকা মারার স্প্রে দেখেছেন ??? সেই স্প্রে তৈরিতে ব্যাবহৃত হয় এই নিকোটিন.মানব দেহকে একই ভাবে নিস্ক্রিয় করতে এই বিষাক্ত পদার্থ সমান ভাবে কার্যকর ৬.অ্যামোনিয়াঃ ডাষ্টবিনের পাশে হেটে গেলে যেই দুর্গন্ধ হয় তা এই অ্যামোনিয়ার জন্য.হারপিক বা এই জাতীয় টয়লেট ক্লিনার তৈরির মূল উপাদান গুলোর একটি হচ্ছে এই অ্যামোনিয়া ৭.রঙঃ রঙ সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই.সিগারেটের ফিল্টারে যেই রঙ থাকে তা মুখে দেওয়ার জন্য অনুপোযোগী কিন্তু সিগারেট খেতে হলে তা মুখে নিতেই হয় ৮.মিথানলঃ রকেট চালানোর জন্য যেই জ্বালানি ব্যাবহৃত হয় তা হলো এই মিথানল ৯.কার্বন মনোক্সাইডঃ কার্বন মনোক্সাইড নামটা অচেনা থাকার কথা নয়.আমি এটাকে সরাসরি বিষ বলেই আখ্যায়িত করব.কারন, কার্বন মনোক্সাইডের বিক্রিয়া নিয়ে আপনারা পড়েই থাকবেন ১০.আর্সেনিকঃ চিনেন নিশ্চয়ই ! ১১.মিথেনঃ বাড়িতে গ্যাসের চুলা দেখেছেন তো ?? কেউ কেউ হয়তোবা ব্যাবহারো করেছেন.যেই গ্যাসটি দিয়ে আপনি রান্না করছেন সেই গ্যাসটি হচ্ছে এই মিথেন.বহুল ব্যাবহৃত এই হাইড্রোকার্বন গ্যাসটি যে মানব শরীরের জন্য কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে তা তো জানেনই ১২.এসিটিক এসিডঃ ভিনেগার দেখেছেন তো.একবার কাঁচা ভিনেগার খেয়ে দেখুন কেমন লাগেএই বিদঘুটে স্বাদওয়ালা জিনিসটার মূল উপাদান হচ্ছে এই এসিটিক এসিড ১৩.বুটেনঃ সিগারেট খেলে তো লাইটার জ্বালিয়ে থাকবেন.আর এই লাইটারে ব্যাবহৃত বুটেনটা কিন্তু আপনার ফুসফুসেই ঢুকছে এরপর একবার ভেবে দেখুন আপনি কী আর সিগারেট খাবেন ????

Comments

Popular posts from this blog

বৈদ্যুতিক ফ্যান আস্তে চালালে বিদ্যুৎ খরচ কম আর জোরে চালালে কি বেশি খরচ হয়?

Custom Rom(কাষ্টম রম) কি? কিভাবে নিজেই এন্ড্রোয়েড এ কাস্টম রম ইন্সটল করবেন।।।

Best Custom ROM for Xiaomi Redmi Note 8