মেয়েরা যেসব কারনে ছ্যাকা খায় এবং তারপর...
একটা রিলেশন ব্রেক হলে সেই কষ্ট পায় যে সত্যিকারের ভালবেসেছিল।দোষ সে যারই হোক!তবে বেশির ভাগ মেয়েরা একটা কমন কারনে ছ্যাকা খায়।
তাহলে শুরু থেকেই বলি...
মেয়েরা সাধারনর ভদ্র ছেলেদের থেকে একটু খারাপ ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট থাকে।ধরুন একটা ছেলে তাকে প্রপোজ করল মেয়েরা প্রথমেই রাজি থাকে না।না বলে দেয়।ছেলে তখন,স্কুল,কলেজ,বাসা,কোচিং এর সামনে সারাদিন আড্ডা দিতে থাকে।যতক্ষন না মেয়ে রাজি হয়।অবশেষে মেয়ে ভাবে
"যে ছেলে তার ভালবাসা পাওয়ার জন্য এত কিছু করতে পারে,তাহলে সে ছেলে তার জন্য সব করতে পারবে"
এই ভেবে মেয়ে পটে যায়।কিন্তু একবারও ভাবল না যে একটা ভাল ছেলের পক্ষে এ সব করা কখনই সম্ভব না।কারন আপনি যদি নিয়মিত স্টাডি করেন বা ফ্যামিলির নজরদারিতে থাকেন তাহলে আপনি কখনই সারাদিন মেয়েদের পিছনে ঘুরার সময় পাবেন না।
আর মাগনা দারোয়ান হওয়ার প্রশ্নই ত আসে না।নিয়মিত স্ট্যাডি করলে আপনি বিকালে কিছুটা ঘুরার জন্য সময় পেলেও মাগনা দারোয়ান হিসাবে মেয়ের বাসা,কোচিং এর সামনে পোস্ট নেয়ার মত সময় পাবেন না।
আপনি দেখবেন আপনাদের স্কুল বা কলেজের ভাল ছাত্রদের রিলেশন বেশি সময় হয়।আমার দেখা দুটা রিলেশন আছে এমন, যাদের রিলেশনের বয়স ৬/৭ বছর।যা আপনার পিছে ঘুরা ছেলেদের দিয়া সম্ভব না।এসব রিলেশন বেশি হলে ২/৩ বছরের ভিতরেই শেষ।
তারপর আসে সুন্দর আর মিষ্টি মিষ্টি কথা।আপনি ছ্যাকা খাওয়া কোন মেয়ের সাথে কথা বল্লে দেখবেন তারা সবাই একটা কমন কথা বলবে তাদের বয়ফ্রেন্ড সমন্ধে।
"ওর ভয়েসটা অনেক সুন্দর ছিল,অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলত"
বোন তুমি কি এটা জানতা না??
যে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে,পাম দিয়ে,তেল দিয়ে কথা বলে তারা কখনই সত্য কথা বলে না!! কারন সত্য কথা সব ক্ষেত্রে শুনতে মিষ্টি লাগে না তা নিমের মত তিতাও।কিন্তু মিথ্যা বানোয়াট গুলমারা কথা চিরদিনই মিষ্টি লাগে যদি না ধরা খায়।আর যারা মিথ্যা বলে তারা খুব সহজেই মানুষকে ধোকা দিতে পারে।
তারপর চলে নানান ছলাকলা।মেয়ে একদিন কথা না বল্লে ছেলেটা হাত পা কেটে বসে থাকে।একসময় মেয়েটা ছেলেটাকে সম্পুর্ন বিশ্বাস করতে শুরু করে সে ভাবে এই ছেলে তার জন্য সব কিছু করতে পারে।চলতে থাকে তাদের স্বপ্নের পথচলা।কিন্তু দুজনার মনে কি আছে তা কেউই জানে না।
মেয়েদের বয়স ১৯/২০ হলেই বাসা থেকে বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দেয়।কিন্তু একটা ২০/২২ বছরের ছেলের কি বিয়ে করা সম্ভব?
কখনই না,কারন এই সময়টা তার ক্যারিয়ার গড়ার সময়।যখন মেয়ে তাকে বিয়ের কথা বলে তখন সে ভাবে
"আমি যদি আমার ক্যারিয়ার ভালভাবে তৈরি করতে পারি তাহলে এর থেকে ভাল মেয়ে আমার কপালে জুটবে,এর ত কিছুদিন পর বিয়ে হয়ে যাবে,তাহলে আমার এত দিনের খরচা-পাতির কি হবে!! দাম ত উঠাতে হবে"
সে দাম উঠাতে যেয়েই মেয়ের সাথে শুরু হয় অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক।যেটাকে সে তার মিষ্টি ভাষায় বলে
"রিলেশনে একটু ভিন্নতা আনলাম,একগেয়েমি আর কত দিন"
বোন মনে রাখবেন
"যে ছেলে আপনার সাথে প্রেম করে আপনার সাথে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইবে সে ছেলে যতই আপনাকে ভালবাসুক না কেন আপনাকে কোন দিনই বিয়ে করবে না।শারীরিক সম্পর্কের পর একটা মেয়ের প্রতি একটা ছেলের তেমন কোন আকর্ষনই থাকে।আর যেহেতু আকর্ষনই নাই রিলেশন থাকবে কিভাবে?"
তারপর সব শেষ।একটা মেয়ে যখন কোন ছেলের সাথে ফিজিকেল রিলেশন করে,সেখানে সে যে ফিল পাবে তা সে অন্য কারো সাথে পাবে না।তখন সে তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারে না।যার ক্ষতিকর পর প্রভাব পরে তার বিবাহীত জীবনে।সে তার স্বামীর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না।শুরু হয় তাদের সংসারিক ঝামেলা, যা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়।অনেক মেয়ে সব ছেড়ে সুসাইড পর্যন্ত করে।
আবার অনেক মেয়ে ভাবে যে
"আমি ত নষ্ট হয়ে গেলাম,আমার ত আর কিছুই নাই,আমি ত সব হারিয়ে ফেলছি"
তাই সে নিজেকে একটু বাজিয়ে দেখে।আর জানেন ত, বাঘ যদি একবার মানুষের মাংসের স্বাদ পায় সে শিকার ছেড়ে মানুষের পিছনেই ছুটে মানুষ খাওয়ার জন্য।ঠিক তেমনি মেয়েটা নিজেকে তখন বিলিয়ে দিতেও পিছপা হয় না।শুরু হয় তার মিশন,একটা নষ্ট জীবনের মিশন।প্রথম প্রেম কে ভুলার জন্য বা ছেলেদের উপর প্রতিশোধ নিতে বা তার আর হারানোর কিছু নাই এমনটা ভেবে সে একাধিক রিলেশনে জড়িয়ে পরে।
চলে একটা ডন্টকেয়ার লাইফ।যেখানে সে নিজেই অনেক ছেলের ভোগ পন্য হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে বা যদি কোন ভাল ছেলে তার লাইফে আসে তাকে কষ্ট দিয়ে সে কিছুটা পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে ছেলেদের প্রতি প্রতিশোধ নিছি ভেবে নিজেকে কিছুটা হলেও সান্তনা দেয়।
বোন আপনি আপনার প্রথম প্রেমকে হারিয়ে,তার কাছে সব কিছু হারিয়েছেন আপনার দোষে।ভাল মানুষ আপনি নির্বাচন করতে পারেন নাই আর সেই মানুষটাও আপনার বিশ্বাসের মুল্য দিতে পারে নাই।যাকে আপনি এত বিশ্বাস করলেন সে আপনার বিশ্বাসের মুল্য রাখে নাই তার সাজা সে পাবেই।শুধু অপেক্ষায় থাকেন
কিন্তু আপনি নিজেকে বাজিয়ে দেখতে গিয়ে যে পন্য হয়েগেছেন তা কি একটুবার ভেবে দেখেছেন?
ভেবে দেখেছেন কি আপনি যে কষ্টে ভুগছেন সেই একই কষ্টে আপনি আরও কিছু মানুষকে ভুগাচ্ছেন।তারা কি দোষ করেছিল আপনাকে বিশ্বাস করে।আপনার প্রথম বয়ফ্রেন্ড আপনাকে ছেড়েগেছে এই ভেবে যে আপনি খারাপ,সব বিলিয়ে দিতে পারেন।তাহলে এসব কাজ করে আপনি কি তার কথার সত্যতা প্রমান দিচ্ছেন না?
একজন পতিতা তো টাকার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয় কিন্তু আপনি কিসের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন? তাহলে তো আপনি ঐ পতিতাদের থেকেও খারাপ।
আপনি আজ সব হারিয়ে যাকে অভিশাপ দিচ্ছেন,আজ কিছু ছেলে একই ভুলের জন্য আপনাকে অভিশাপ দিচ্ছে!!
মানুষের জীবন তো থেমে থাকে না।হয়ত আপনিও কারো না কারো ঘরে।যাবেন কারো বউ হয়ে।তাহলে ভাবুন তো সেই মানুষটার কাছে আপনি কি জবাব দিবেন?
আছে কি কোন জবাব আপনার কাছে???
আপনার ভিতর যদি বিন্দুমাত্র বিবেক থাকে কোন দিনই আপনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না এবং ঐ সব মানুষগুলা আপনাকে ক্ষমা করবে না।আর নিজের অপরাধবোধ আপনাকে দিবে না রাতে ঘুমাতে।
Writter:MD Imran Hossen.
Comments
Post a Comment