রিলে কি? (What is relay) I রিলে কেন ব্যবহার করা হয় (Why relay is used) I রিলের প্রকারভেদ (Types of relay)
রিলে কি (What is relay) -
রিলে একটি সুইচিং ডিভাইস। কারেন্ট যদি রিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন রিলের মধ্যে থাকা কয়েলটি ম্যাগনেটাইজড হয় এবং অন অফ সুইচিং এর কাজ করে সার্কিটকে নিয়ন্ত্রন ও কন্ট্রোল করা যায়। এছাড়া রিলেকে প্রটেকটিভ ডিভাইসও বলা হয় কারন জরুরী মুহুর্তে এটি সার্কিট, যন্ত্রাংশ বা ডিভাইসকে বন্ধ করে পুড়ে যাওয়া বা ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
রিলে কিভাবে কাজ করে (How relay works) -
প্রায় সব রিলেতেই দুইটি সোর্স পিন থাকে এবং সেই সোর্স পিনে কয়েল যুক্ত থাকে। যদি এই কয়েলে ভোল্টেজ প্রদান করা হয় তখন এই কয়েলে এ ম্যাগনেট তৈরি হয়। ম্যাগনেট তৈরি হওয়ার ফলে পাশে থাকা লোহার পাতকে সেই কয়েলটি আকর্ষন করে এবং টান দেয়। এতে সুইচটি অনহয়। এবং ভোল্টেজ সরালে পাতটি আবার ছেড়ে দেয় এতে সুইচ অফ হয়। তাই এ থেকে বোঝা যায় ম্যাগনেটাইজড এর মাধ্যমে সুইচিং এর কাজ করে।
উদাহরনস্বরুপ যদি ডিসি ১২ ভোল্ট দিয়ে একটি সার্কিট পরিচালনা করি এবং এই সার্কিট দিয়ে আমরা ২২০ ভোল্টের কোন ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইসকে অনঅফ করতে চাই তবে তা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে আমরা ডিসি ১২ ভোল্ট দিয়ে রিলে অপারেট করে ২২০ ভোল্টের ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো।
এছাড়া এই রিলে প্রটেক্টিভ ডিভাইসের কাজ করে। উদাহরনস্বরুপ একটি ওয়েল ট্যাংকে টেম্পারেচার সেন্সর থাকে এবং এটি একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রি তে লিমিট সেট করা থাকে। ওয়েল যদি ওই নির্দিষ্ট ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছায় তাহলে সেন্সরটি রিলেকে সিগনাল পাঠায় এবং রিলে সিস্টেমকে অফ করে দেয় এবং সিস্টেমকে ওভারহিটেড থেকে রক্ষা করে।
রিলে কতো প্রকার ও কি কি -
ভোল্টেজ অনুযায়ী রিলে দুই প্রকার
১। এসি রিলে: 5V/6V/24V/110V/440V হয়।
২। ডিসি রিলে: 5V/6V/24V/110V/440V হয়।
রিলে সাধারণত উপরোক্ত সকল ভোল্টেজের হয়ে থাকে এবং কার্যক্ষেত্র অনুযায়ী বিভিন্ন অ্যাম্পিয়ারের হয়ে থাকে। Why relay is used
রিলে ব্যবহারের নিয়ম (How to use relay-
প্রত্যেকটা রিলে এর গায়ে একটি ব্যবহারের জন্য ডায়াগ্রাম থাকে এবং এটি কত ভোল্টেজ এবং কত এম্পিয়ারের সেটা লেখা থাকে। এই এম্পিয়ার এবং ভোল্টেজ অনুযায়ী এটি কোন যায়গায় ব্যবহার করা যাবে তা নির্ধারন করা হয়। রিলের বডিতে যদি ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পিয়ার লেখা না থাকে তাহলে রিলের মধ্যে যে কয়েল থাকে সেই কয়েলে ভোল্টেজ এবং এ্যম্পিয়ার লেখা থাকে। ভোল্টেজ ও এ্যম্পিয়ার অনুযায়ী রিলে কোথায় ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারন করা হয়।
রিলের প্রকারভেদ (Types of relay)
বাজারে সাধারনত তিন ধরনের রিলে পাওয়া যায়
১। SPST ( সিঙ্গেল পোল সিঙ্গেল থ্রো): ৪ টি পিন থাকে এই রিলেতে ।
২। SPDT ( সিঙ্গেল পোল ডাবল থ্রো): ৫ টি পিন থাকে এই রিলেতে ।
৩। DPDT ( ডাবল পোল ডাবল থ্রো): ৮ টি পিন থাকে এই রিলেতে ।
রিলে কেন ব্যবহার করা হয় (Why relay is used)
১। ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেমের কোন অংশে ত্রুটি দেখা দিলে এই অংশকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে রিলে ব্যবহার করা হয়।
২। কোন সার্কিটের অংশে ত্রুটি দেখা দিলে রিলে হতে জানা যায়।
৩। ত্রুটির কারন রিলে থেকে বের করা যায়।
৪। ডিসি দিয়ে এসি কে কন্ট্রোল করতে রিলে ব্যবহার করা হয়।
রিলের পিন এর পরিচিতি (Introduce with relay pin)
Introduce with relay pin
(NC – Normally Close) নরমালি ক্লোজ : প্রাথমিক অবস্থায় অন থাকে। রিলের কয়েলে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রিক সরবরাহ না থাকলে এটি কমন পিনের সাথে শর্ট অবস্থায় থাকে।
(NO – Normally Open) নরমালি ওপেন: এই পিন সাধারণ অবস্থায় বন্ধ থাকে। রিলের কয়েলে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রিক সরবরাহ না থাকলে এটি কমন পিন থেকে বিচ্যুত থাকে। ডিভাইসকে এই পিনের সাথে ও কমন পিনের সাথে সংযুক্ত করে সুইচিং করা হয়।
(Common/Pole) কমন কয়েল +/- কয়লে -/+ : সুইচিং করার সময় এই পিন সমুহে রিলে কয়েলের মান অনুযায়ী ভোল্টেজ প্রবাহিত করা হয়। সাধারণত কোন সার্কিটে লোড/এলইডি লাগাবার স্থানে উপযুক্ত ক্যাপাসিটর ও রেজিস্টর মাধ্যমে সংযোগ করা হয়। রিলে কয়েলের কোন পজেটিভ বা নেগেটিভ প্রান্ত থাকে না। অর্থাৎ কয়েলে যেকোন ভাবেই ব্যাটারির দুই প্রান্তের সাথে লাগানো যায়। রিলের পরিচয় হয় এর কয়েল ভোল্টেজ এর দ্বারা। যে ভোল্টে এই রিলে চালু হয় সেটি মূলত রিলের ভোল্ট হিসেবে ধরা হয়।
Comments
Post a Comment